Friday, November 16, 2012

একটা কম্পিউটারের সম্পূর্ণ পরিচর্যা নিশ্চিন্তে বহু দিন কোন সমস্যাহীন ভাবে চালানোর জন্য.


বন্ধুরা সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনদন জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করলাম । আশাকরি আপনাদের ভালই লাগেব । ভুমিকা বেশি না বাড়িয়ে আসল ব্যাপার চলে যাই । হেডিং দেখই হয়ত বুঝেছেন আজকের পোস্টটা একটা আদর্শ কম্পিউটারের সম্পূর্ণ পরিচর্যা নিয়ে । আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখার জন্য আমার বিভিন্ন পরিচর্যার কাজ করি । তেমনি কম্পিউটার কে সুস্থ সবল রাখার জন্য নিমক্ত পরিচর্যাগুলো করা অতি জরুরি …


১। কম্পিউটারের বুটিং সময় দেখা
২। ডিস্ক ড্রাইভ ‘রান -লাইত-অন’
৩। প্রিন্টারের প্রিন্টিং সময়
৪। দৈনিক ব্যাবহারের সময় লিখে রাখা , আদ্রতা পরীক্ষা , ইত্যাদি
১। কম্পিউটারের আশপাশ পরিস্কার করা
২। ডেস্ক এর উপরে থাকা কাগজপত্র , পত্রিকা গুছিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা
৩। এন্টাস্ট্যাটিক এবং ধুলা শোষক কম্পিউটারের ডেস্ক ,শেলফ , মেঝ মুছে ফেলা
৪। সাবান পানি মিশ্রিত পানি কাপর দিয়ে চেশি ,কেস ইত্যাদি ধুয়ে এন্টাস্ট্যাটিক কাপর দিয়ে মুছে ফেলা
৫। এন্টাস্ট্যাটিক স্প্রে , দ্রবন বা কাপড় দিয়ে ডিসপ্লে স্ক্রীন পরিস্কার করা
৬। ডিস্ক ড্রাইভ এর রিড হেড পরিস্কার করা
৭। অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম চালানো
৮। ডিস্ক ডিফ্রেগমেন্টার বা এ জাতীয় টুল ব্যাবহার করে হার্ডডিস্ক পরীক্ষা করা
১। ড্রাইভার হেড পরিস্কার করা
২। কম্পিউটারের ভিতরের যন্ত্রাংশ খুলে পরিস্কার করা
৩। প্রিন্টার এর ভিতরের অংশ পরিস্কার করা
৪। ভেন্টেলেশন ফিল্টার পরীক্ষা করে প্রয়জনিয় সংযোগ পিন পরীক্ষা করা এবং এসব স্থানে ক্ষয় শুরু হলে তার প্রতিরধের বেবস্থা নেয়
৫। অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম আপগ্রেড করা ও চালানো
৬। ডিস্ক ডিফ্রেগমেন্টার বা এ জাতীয় টুল ব্যাবহার করে হার্ডডিস্ক পরীক্ষা করা
১। মাদারবোর্ড ও পেরিফেরাল কার্ড স্থাপিত সকেট সংযুক্ত চিপ খুলে পরিস্কার করে আবার লাগানো
২। সংযোগ প্লাগ এবং ক্যাবল খুলে পরিস্কার করে পুনুরায় লাগানো
৩। এন্টাস্ট্যাটিক পদার্থ ও কাপড় কম্পিউটারের চারপাশ পরিস্কার করা
৪। প্রিন্টার এর ভিতরের অংশ পরিস্কার করা
১। ভেন্ট ফিল্টার পরীক্ষা করা
২। ড্রাইভার হেড পরিস্কার করা
৩। সংযোগ বিচ্ছিন করে পিন পরিস্কার করে আবার লাগানো
বিঃদ্রঃ ভোল্টেজ আপ-ডাউন এর কারনে কম্পিউটার খুব তারাতারি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই এর প্রতিরক্ষার জন্য ইউপিএস ব্যাবহার করা একান্ত জরুরি । চৌম্বকিয় বস্তু মনিটরে কাছাকাছি রাখা উচিৎ নয় । কারেন্ট লাইনে পর্যাপ্ত আরথিং এর বেবস্থা করা । টেঁসটার দিয়ে কেসিং এ ধরলে যদি লাইট জ্বলে বা হাতের স্পর্শে শক করে তবে আরথিং এর অভাব আছে বুঝতে হবে । ইউএসবি পোর্ট ব্যাবহারে সতর্ক থাকা উচিৎ ,প্রয়জনে এক্সটেনসন কেবল ব্যবহার করা উচিৎ । কারন মাদারবোর্ড এর ইউএসবি পোর্ট একবার নষ্ট হলে টা পরিবর্তন করা দুষ্কর । উইন্ডোজ বা অপারেটিং সিস্টেম কে রক্ষার জন্য অ্যান্টিভাইরাস ব্যাবহার করা এবং আপ টু ডেট রাখা অব্যাশক । তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি থিম বা স্টাইলের জন্য ট্রান্সফর্ম প্যাক ব্যাবহার করা উচিৎ নয় , এগুলো সিস্টেম ফাইলে রিপ্লেস করে । সিস্টেম ফাইল নষ্ট করে দেয় । যার কারনে কম্পিউটারের গতি ধীর হয় । ঘন ঘন কম্পিউটার হাং ও এরর রিপোর্ট দেয় । উইন্ডোজ আপডেট করা ভালো , অনেক সমস্যার সমাধান হয় । সিস্টেম সিকিউরিটি ভালো থাকে । অযথা সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইন্সটল করে রাখা ঠিক না । কম্পিউটার স্লও হয় । খুব জরুরি না হলে রিস্টার্ট বাটন প্রেস করে , রিস্টার্ট করা উচিৎ নয় । 

0 comments:

Post a Comment