Tuesday, November 20, 2012

সার্চ ইন্জিন (SEO )


সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
সার্চ ইন্জিন হল এক প্রকার লক্ষ বস্তু. যা বিবিন্ন web site খুজে বাহির করতে সহায়তা করে। এবং এটি একটি web সাইটকে সবার আগে কি ভাবে আনা যায়।  

সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO ) কি?

পূথিবীতে অনেক সার্চ ইন্জিন আছে যেমন সবচেয়ে বিখ্যাত হল গুগল,এরপর আছে ইয়াহু,বিং ইত্যাদি।কেউ যদি বাংলায় এইচটিএমএল শিখতে চায় তাহলে হয়ত সে “এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল” লিখে গুগলে সার্চ দেবে কারন সে হয়ত বাংলায় এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল আছে এমন কোন ওয়েবসাইটরে ঠিকানা জানেনা।এখন ধরুন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে যেখানে বাংলায় এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল আছে।এখন যদি “এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল” লিখে গুগলে সার্চ দিলে গুগলের প্রথম পেজে আরও ভাল হবে যদি প্রথম পেজের প্রথম লিংকটাই আপনার সাইটের হয় তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ঐ ইউজার যে “এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল” দিয়ে খুজছিল সে অবশ্যই আপনার সাইটে যাবেই।এই যে একজনের সাইট গুগলে সবার আগে দেখাল অথচ বাংলায় এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল আছে এমন বহু সাইট,ব্লগ,ফোরাম ইত্যাদি থাকার পরেও,যে সাইট আগে দেখালো সে সাইটে কিছু কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল এসব কৌশলকে বলা হয় সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) প্রধানত ২ ধরনের
১.অন পেজ (যেটা সাইটের ভিতরেই করা হয় যেমন টাইটেল ট্যাগ,কনটেন্ট,কিওয়ার্ড ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক হওয়া )
২.অফ পেজ (যেটা সাইটের বাইরে করা হয় যেমন ব্লগ,ফোরাম পোস্টিং)
ওয়েবকোচবিডি সাইটে আগে অনপেজ SEO টিউটোরিয়াল থাকবে এবং এরপর অফপেজ SEO
এখানে শুধু অর্গানিক সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (Organic  SEO) এর টিউটোরিয়াল থাকবে,পেইড সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (Paid SEO) নয়।
পেইড সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন: গুগলে সার্চ দিলে মাঝে মাঝে দেখবেন সার্চ রেজাল্টের ডানে বা উপরে ভিন্ন রং (সাধারনত হালকা খয়েরি) কিছু লিংক থাকে (যে শব্দ দিয়ে সার্চ দিয়েছেন সেটা সংশ্লিষ্ট)।এগুলি পেইড লিংক অর্থ্যাৎ এর জন্য গুগলকে অর্থ দিতে হয়েছে।এই ধরনের অপটিমাইজেশনকে পেইড এসইও (Paid SEO) বলে।

অর্গানিক সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন: যে লিংকগুলি সার্চ রেজাল্ট পেজে সাধারনভাবে প্রদর্শিত হয় মানে গুগল এগুলি কোন বিশেষ রং দিয়ে হাইলাইট করেনা এগুলি অর্গানিক লিংক।এই ধরনের অপটিমাইজেশনকে অর্গানিক এসইও (Organic SEO) বলে। এটাকে এলগরিদমিক SEO ও বলে।
এসইও-টাইটেল ট্যাগ টিউটোরিয়াল
এটা  খুবই গুরত্বপূর্ন একটা ওয়েব পেজের জন্য।ইউজার এবং সার্চ ইন্জিন উভয়কে এটা বলে দেয় যে পেজের মধ্যে কি আছে অর্থ্যাৎ একটা টাইটেল একটা পেজের সরাংশ।আপনার পেজের টাইটেল হতে হবে এমন যাতে এটা আপনার সাইটের আর অন্য কোন পেজের টাইটেলের সাথে মিলে না যায় অর্থ্যাৎ unique এবং নির্ভূল।
সার্চ রেজাল্ট যখন আমরা ব্রাউজারে দেখি তখন পেজ টাইটেল সবার আগে প্রথম লাইনে থাকে।যেমন

seo-title-tag

ইউজার যে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে সেই কিওয়ার্ডটি যদি সার্চ রেজাল্টে বোল্ড করে দেখায় তাও আবার পুরো পেজ টাইটেলটি,তাহলে আপনার সাইটের ট্রাফিক বহুগুন বেড়ে যাবে।পেজ টাইটেল সবসময় এমন দিবেন যেটার সাথে পেজের কনটেন্টের খুব মিল আছে।খুব বড় টাইটেল দেয়া উচিৎ নয় এতে অনেক অপ্রয়োজনীয় শব্দ টাইটেলে চলে আসে আর খুব বড় টাইটেল হলে গুগল এর সম্পূর্ন নয় বরং কিছু অংশ দেখায়।সবচেয়ে ভাল আপনার পেজ টাইটেল হবে ছোট,প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যবহুল।
এসইও-মেটা ট্যাগ টিউটোরিয়াল
মেটা  (<meta>) ট্যাগ এর “description”  এ পেজে কি আছে তা সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।এটা গুগল এবং সকল সার্চ ইন্জিনকে একটা ধারনা দেয় যে এই পেজে কি আছে।এই বর্ননা ২/৩ লাইনের দিতে পারেন।মেটা বর্ননাকে গুগল আপনার ওই পেজটার কনটেন্টের সরাংশ হিসেবে ধরতে পারে।ধরতে পারে এজন্য বলা হয়েছে কারন ইউজার যে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে সেটার সাথে যদি সরাসরি পেজ কনটেন্টের কোন অংশের সাথে বেশি মিলে যায় তাহলে সেই অংশ গুগল সার্চ রেজাল্টে দেখাতে পারে।

seo meta description

ইউজারের দেয়া কিওয়ার্ড যদি এই সরাংশে (মেটা বর্ননায়) থাকে তাহলে সেটা বোল্ড করে দেখাবে যেমন উপরের ছবিতে দেখুন ইউজার এর “এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল” লেখাটি সার্চ রেজাল্টে বোল্ড করে দেখাচ্ছে।এটা ইউজারকে একটা ইঙ্গিত দেয় যে,সে যে জিনিস খুজছে সেটার সাথে পেজটির কতটুকু মিল রয়েছে।তাই এমনভাবে মেটা বর্ননা দিন যাতে যেটা ইউজার সার্চ রেজাল্টে দেখেই যেন মনে করে এই পেজেই আমার প্রয়োজনীয় তথ্য থাকতে পারে।পেজের কনটেন্টের কোন অংশ আবার কপি করে মেটা বনর্নাতে পেস্ট করে দিয়েননা বরং পেজের কনটেন্টের উপর ছোটখাট একটা সারমর্ম লিখে দিন।
প্রতিটি পেজের মেটা বর্ননা যেন ভিন্ন ভিন্ন হয় তানাহলে ইউজার বা সার্চ ইন্জিন যখন একসাথে বহু পেজ দেখবে তখন সমস্যা হবে। শুধু একটা সাইটের সব পেজ সার্চ রেজাল্টে দেখা যায়)।আপনার সাইটে যদি হাজার হাজার পেজ থাকে তাহলে প্রতিটি পেজের জন্য আলাদা আলাদা মেটা বর্ননা তৈরী করা জটিল হয়ে পরবে সেক্ষেত্রে পেজের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে অটোমেটিক মেটা বর্ননা তৈরী হবে এধরনের টেকনিক অবলম্বন করতে হবে।
এসইও-লিংক স্ট্রাকচার টিউটোরিয়াল
লিংক স্ট্রাকচার খুব সহজ এবং বোধগম্য রাখুন যাতে সার্চ ইন্জিন এবং ইউজার উভয়েরই পড়তে এবং বুঝতে সুবিধা হয়।অনেক সময় দেখা যায় URL এমন থাকে যে বুঝাই যায়না এসময় ই্উজারের কপালে বিরক্তির ভাজ পড়তে পারে।সবচেয়ে ভাল, আপনি আইডি বা অবোধগম্য কোন প্যারামিটার URL এ ব্যবহারের চেয়ে এমন শব্দ জুড়ে দিন যেটা দেখেই যেন পেজ সমন্ধে একটা ধারনা হয়ে যায়।
URL সার্চ রেজাল্টে সবার নিচে(টাইটেল এবং এরপর সরাংশের নিচে)দেখায়।URL এ সেশন আইডি বা অপ্রয়োজনীয় প্যারামিটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।যেমন ছবির URL দেখুন এটা একটা খারাপ URL এর উদাহরন এবং SEO Friendly নয়
bad url

বরং URL নিচেরমত হওয়া ভাল।
URL এ অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।আরেকটা গুরত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে প্রতিটি পেজের বা কনটেন্টের একটি মাত্র URL রাখা।একই পেজের যদি একাধিক URL থাকে সার্চ ইন্জিন কিন্তু আলাদা আলাদা পেজ মনে করে ফলে র‌্যাংকিংও সেভাবে দিয়ে থাকে ।যদি দেখেন যে আপনার সাইটের একটা পেজের কয়েকটা URL তাহলে একটা মেথড আছে এর মাধ্যমে সব URL কে একটা পছন্দনীয়  URL এ নিতে পারেন।এই মেথডে htsccess ফাইলের মাধ্যমে এটা করা যায়।এজন্য এপাচি সার্ভারের এই ফাইলটিতে কোড লিখে এই পরিবর্তন আনতে পারেন।আর যদি মেথড ব্যবহার না করেন তাহলে ক্যানোনিকাল URL ব্যবহার করতে পারেন।
URL এ ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার শোভনীয়,ছোট বড় হতের একসাথে করলে দেখতেও খারাপ লাগে,আসলে এটা এড়ানো উচিৎ।
৩০১ রিডাইরেক্ট টিউটোরিয়াল
লেখক মো:রেজওয়ানুল আলম   
৩০১ রিডাইরেক্ট একটা গুরত্বপূর্ন জিনিস সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে।৩০১ একটা কোড এর অর্থ স্থায়ী রিডাইরেক্ট (Permanent redirect).একটা সাইটের যদি দুটি ডোমেইন নাম থাকে অথবা একটা পেজের যদি দুটি বা আরও বেশি ঠিকানা থাকে তাহলে গুগল এখানে সব ঠিকানাগুলিকে আলাদা আলাদা ধরবে।এরফলে সার্চ রেজাল্টে এর বিরুপ প্রভাব পড়বে কারন ডুপ্লিকেট কনটেন্ট।সবচেয়ে মারাত্নক হচ্ছে সব সাইটের দুটি করে অটোমেটিক ঠিকানা হয়ে যায় যদিও এখানে সাইট একটি কিন্তু গুগল এখানে দুটি সাইট মনে করে তাই এখানে এই রিডাইরেকশন করা জরুরী রিডাইরেক্ট করে অর্থ্যাৎ একটা ঠিকানা রাখুন।এটা htaccess ফাইল দিয়ে করা যায়,সিপ্যানেল থেকেও করা যায়।নিচে  টাইপ করলে এ চলে যাবে (৩০১ রিডাইরেক্ট হবে) এই পদ্ধতিটি দেখানো হল-
htaccess ফাইল দিয়ে
Options +FollowSymLinks
RewriteEngine On
RewriteCond %{HTTP_HOST} ^webcoachbd\.com$ [NC]
RewriteRule ^(.*)$ [L,R=301]

শুধু এই কোডটি পরীক্ষিত নিচেরগুলি পরীক্ষা করে দেখিনি
যদি চান টাইপ করলে webcoachbd.com এ যাবে তাহলে
#Options +FollowSymlinks
RewriteEngine On
RewriteCond %{http_host} ^ RewriteRule ^(.*) $1 [R=301,L]

সিপ্যানেলে
redirect tutorial

এখানে ক্লিক করে কোন্ পেজ থেকে কোন্ পেজে রিডাইরেক্ট করতে চান তা উল্লেখ করে দিয়ে Add বাটনে ক্লিক করলেই হয়ে যাবে।
এসইও-সাইট নেভিগেশন টিউটোরিয়াল
লেখক মো:রেজওয়ানুল আলম   
হোম পেজ বা মুল পাতা ভিত্তিক নেভিগেশন তৈরী করুন।ইউজার যেন হোম পেজ থেকে আপনার সাইটের সব পেজে যেতে পারে এবং সে যেন বুঝতে পারে যে এখন কোন পেজে আছে।এজন্য breadcrumb এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। 
ইউজার যদি URL এর কোন নির্দিষ্ট অংশ মুছে দিয়ে উপরের কোন ডিরেক্টরি বা পেজে যেতে চায় তাহলে যেন যেতে পারে।এখানে যেন 404 error page not found এসব এরর না দেখায়।যেমন ইউজার যদি নিচের লোকেশনে থাকে এবং শেষের oophp টুকু ব্রাউজারের এড্রেসবার থেকে মুছে দেয় তাহলে যেন তার আগের পেজে চলে যায় কোন এরর মেসেজ দেখানো ছাড়াই।
সাইটের নেভিগেশনের জন্য অর্থ্যাৎ এক পেজ থেকে অন্য পেজে যাওয়ার জন্য টেক্সট লিংক ব্যবহার করুন এতে করে সার্চ ইন্জিন আপনার সাইটকে ভাল করে বুঝতে পারে।নেভিগেশন যদি জাভাস্ক্রিপ্ট,ফ্লাশ বা ড্রপডাউন মেনু দিয়ে করেন তাহলে অনেক সার্চ ইন্জিন এই পরিস্থিতিতে হয়রান হয়ে যায় অনেক সার্চ ইন্জিন পারেইনা crawl করতে।


0 comments:

Post a Comment