Tuesday, November 13, 2012

ফটোশপ বেসিক

ফটোশপ গ্রফিক্সের কাজ করার জন্য একটি চমৎকার সফটওয়ার।মাঝে মাঝেই এই সফটওয়ারটি আপনার লাগবে।তবে যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ওয়েব ডিজাইনার(শাব্দিক অর্থে) হতে চান তাহলে তো এই সফটওয়ার আপনার নিত্যসঙ্গী।আর কয়েকটি সফটওয়ার যেমন অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর,ফ্ল্যাশ ইত্যাদি শিখে আপনি পূর্নাঙ্গ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।এই সফটওয়ারটির কাজ শেখা বেশ সহজ কারন এখানে আপনাকে কোন প্রোগ্রামিং জানতে হবেনা।শুধু ক্লিক করেই মোটামুটি সব কাজ করতে পারবেন।
আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার (প্রোগ্রামার) হতে চান তাহলে এর কাজ ভাল না জানলেও চলবে তবে জানা থাকলে ভাল।এতে করে আপনি আপনার কোন নিজস্ব ওয়েব সাইটে নিজের মত করে কোন গ্রাফিক্সের কাজ দিতে পারেন।যেমন এই সাইটটিতে আমি ব্যানার,লোগো,ফেবিকন এসব ফটোশপে তৈরী করে এখানে বসিয়েছি।এছাড়া ফটোশপ দিয়ে ওয়েব পেজও তৈরী করা যায় এমনকি ওয়েব ফটো অ্যালবামও,এখানে এসবের টিউটোরিয়াল দিয়েছি।
ফটোশপ লেয়ার টিউটোরিয়াল (Photoshop Layer)
লেখক মো: রেজওয়ানুল আলম    

ফটোশপ লেয়ার টিউটোরিয়াল (Photoshop Layer)

ফটোশপে লেয়ার গুরত্বপূর্ন বিষয়।ফটোশপে কাজ শুরুর আগে লেয়ারর ব্যাপারে জানতে হবে।এবার লেয়ার নিয়ে ব্যাসিক আলোচনা করা যাক।

লেয়ারের প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ফটোশপের ৩.০ ভার্সনটি বাজারে আসার পর।লেয়ারগুলি একটি আরেকটির উপর স্বচ্চ পর্দার মত।লেয়ারগুলি একসাথে মিশিয়ে অথবা অন্যভাবেও সাজিয়ে এর ইফেক্ট তৈরী করা যায়।ধরি আমি উপরের লেয়ারে একটি ছবি আকতে চাই,নিচের লেয়ারটি যেমন আছে তেমনই থাকবে কিন্তু উপরের লেয়ারের অঙ্কিত ইফেক্টটি এ লেয়ারে দেখা যাবে।কোন ছবিতে কোন পরিবর্তন না এনে যেকোন ধরনের ইফেক্ট যোগ করার সুবিধা ফটোশপ দিতে পারে।
* যখন কোন নতুন ছবি বা ডকুমেন্ট খুলি তখন এটা একটা লেয়ারে থাকে,নিজস্ব লেয়ার এটা অমরা দেখি।এটাকে সাধারনত ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার বলে এবং এই লেয়ার প্যালেটটি ডানদিকে নিচের দিকে থাকে।

Photoshop layer step 1

লেয়ার প্যালেটটি ফটোশপের কন্ট্রোল প্যানেল।লেয়ার গুলি একটি আরেকটির উপর রাখা যায়,সরানো যায় ক্লিকের মাধ্যমে অথবা মাউস দিয়ে ড্রাগিং করেও করা যায়।
লেয়ার তৈরী করা-
লেয়ার তৈরীর কয়েকটি পদ্ধতি আছে,সধারনত প্যালেটের নিচে ডান দিকে "Create new Layer" আইকনে ক্লিক করে লেয়ার তৈরী করা যায়।

Photoshop layer step 2

এছাড়া Layer মেনু থেকে new ->layer সিলেক্ট করেও নতুন লেয়ার তৈরী করা যায়।উল্লেখ্য এখানে নতুন লেয়ার তৈরীর কিবোর্ড শর্টকাটও দেখতে পাব।
Photoshop layer step 3
এভাবে লেয়ার তৈরী করলে ফটোশপ আপনার কাছে লেযারের নাম কি দিবেন তা জানতে চাবে,নাম দিতে পারেন অথবা ok বাটন ক্লিক করলেও নতুন লেয়ার তৈরী হয়ে যাবে লেয়ার লেয়ার প্যালেটে যেকোন লেযারে ডাবল ক্লিক করেও লেয়ারের নামকরন করা যাবে।
লেয়ার লুকানো/hide করা
Photoshop layer step 4
লেয়ারের অরেকটি সুবিধা হচ্ছে কাঙ্খিত লেয়ার যেকোন লেয়ারের eye আইকনে ক্লিক করে হিডেন করে রাখতে পারি।
লেয়ার সংযুক্ত করা/linking layer
লেয়ারগুলি একত্রে সংযুক্ত করা যায়।এটা দরকার হয় যখন move tool এর সাহায্যে লেয়ার বা কোন বস্তু সরানো হয়।লেয়ারের সংযুক্ততা একটি আরেকটিকে ধরে রাখে।একটি সরালে অন্যটিও সাথে(সরে) যায়। লেয়ারগুলি সংযুক্ত করা যায় eye আইকনের পরেই vacant box এ ক্লিক করে।
Photoshop layer step 5

 ফটোশপ মারকিউ টুল টিউটোরিয়াল (Photoshop Marquee Tool)

ফটোশপে মারকিউ টুল একটি গুরত্বপূর্ন টুল।এবার মারকিউ টুলের মৌলিক বিষয়াদি আলোচনা করা হবে।


photoshop marquee tool step 1
মারকিউ টুল দিয়ে আয়তাকার,গোলাকার,বর্গাকার বিভিন্ন আকৃতি তৈরী করা যায়।Elliptical or Rectangular টুল সিলেক্ট করে ক্লিক ও ড্রাগ করে আয়তাকার বা উপবৃত্তাকার আকৃতি তৈরী করা যায়।কিবোর্ড শর্টকাট=M or Shift M
সিলেকশন করা
photoshop marquee tool step 2

সাদাকালো ড্যাশগুলো নির্দেশ করে কতটুকু সিলেক্ট করা হয়েছে।এর বাইরে ক্লিক করে অন্য আরেকটি সিলেকশন করতে পারেন।
মারকিউ অপশন
উপরে বাম দিকে অবস্থিত।প্রথম ৪টি আইকন দিয়ে মুল সিলেকশন থেকে সিলেক্টকৃত আরো কিছু অংশ বাদ বা যোগ করতে পারেন।আইকনগুলোর উপর মাউস রাখলেই দেখায় কোনটি কোন্ কাজ করে।
photoshop marquee tool step 3
আইকোনগুলোর সাথে সময় দিন।পরে কাজে আসবে অভিজ্ঞতা বাড়াতে।
একটা সিলেকশন তৈরী করা।
photoshop marquee tool step 4
সিলেক্টকৃত আরেকটি সিলেকশন মূল সিলেকশনের সাথে যোগ করা।
photoshop marquee tool step 5
সিলেক্টকৃত কোন অংশ বাদ দেয়া।
দুটি সিলেকশন আড়াআড়ি ভাবে স্থাপন।
photoshop marquee tool step 6
এরপর feather অপশন ও Anti Alias বক্স অবস্থিত। feather সিলেক্টকৃত অংশের কোনাগুলি মসৃন করে।
photoshop marquee tool step 7

Anti Alias চেকবক্সে টিকমার্ক থাকলে গোলাকার সিলেকশনের সময় সিলেকশনকে rough হওয়া থেকে রক্ষা করে।
photoshop marquee tool step 8
পরবর্তী ঘোষনা না দেয়া প্রর্যন্ত টিকমার্ক দিয়েই রাখুন।
তারপরেই ৩টি অপশন নিয়ে Style box অবস্থিত।Normal সিলেক্ট করা থাকলে ইচ্ছামত সিকেশন তৈরী করতে পারবেন।Fixed ratio সিলেক্ট করা থাকলে ডান দিকের বক্সে Height Weight যা ঠিক করবেন সিলেকশনও তেমন হবে।
photoshop marquee tool step 9
Elliptical মারকিউ টুল
এই টুলটি তার নাম অনুযায়ী উপবৃত্ত তৈরী করে।Shift চেপে ধরে ক্লিক করে Perfect উপবৃত্ত তৈরী করতে পারবেন।
photoshop marquee tool step 10
Rectangular মারকিউ টুল
এ টুলটি ব্যবহার করে আয়তক্ষেত্র বা বর্গ তৈরী করতে পারেন।Shift চেপে ধরে ক্লিক করে perfect বর্গক্ষেত্র তৈরী করতে পারেন।
photoshop marquee tool step 11

টিপস: Ctrl+D প্রেস করে সিলেকশন বাতিল করতে পারেন।
ফটোশপ গ্রাডিয়েন্ট টুল টিউটোরিয়াল (Photoshop Gradient Tool)

গ্রাডিয়্যান্ট টুলটি ফটোশপে খুবই গুরত্বপূর্ন ও উপকারী টুল বিশেষ করে ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য।এ টুলটি পেইন্ট বাকেট টুলের সাথেই থাকে।টুলটি বের করতে G এবং তারপর Shift+G  প্রেস করুন তাহলে পালাক্রমে গ্রাডিয়্যান্ট টুল ও পেইন্ট বাকেট টুল আসতে থাকবে।


photoshop gradient tool step 1
এ টুলটির ব্যবহার সহজ কিন্তু বুঝতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।সিলেক্টকৃত কোন অংশ বা কোন ক্যানভাসের উপর দিয়ে মাউস পয়েন্টারটি ক্লিক করে চেপে ধরে ড্রাগ করুন(টানুন)।ড্রাগ(টান) যত লম্বা হবে গ্রাডিয়্যান্ট এর ঢালুও তত লম্বা হবে।এ টুলের সমস্ত নিয়ন্ত্রন পয়েন্টারের ড্রাগিং (টানের)এর উপর নির্ভর করে।Shift key চেপে ধরে টানলে দেখুন কিভাবে গ্রাডিয়্যান্ট টা তৈরী হয়।
গ্রাডিয়্যান্ট টুল সিলেক্ট করে ড্রাগ করে Fill করা।
photoshop gradient tool step 2
এ টুলটিতে দক্ষতা আনতে হলে অনেক সময় ও অনুশীলনের প্রয়োজন।এর উপরিভাগের রং এর সাথে সময় ব্যায় করুন এবং বিভিন্ন ভাবে গ্রাডিয়্যান্ট দেয়ার চেষ্টা করুন,টুলটির ভিতরের অন্যান্য বৈশিষ্টের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে।

গ্রাডিয়্যান্ট টুল অপশন বার

এ অপশন বারটি(খন্ড) গ্রাডিয়্যান্টকে পরিবর্তন করার মত অনেক বৈশিষ্ট্য বহন করে।গ্রাডিয়্যান্ট টুলটি সিলেক্ট করলেই উপরে Preset(=পূর্বেই ঠিক করে রাখা যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করবে) সহ আইকন গুলো দেখাবে।
photoshop gradient tool step 3

এখানে ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য ঠিক করতে পারেন।

গ্রাডিয়্যান্ট  টুল এডিটর

উপরেই বলেছি যে গ্রাডিয়্যান্ট  পরিবর্তনযোগ্য।গ্রাডিয়্যান্ট এডিটরে ইচ্ছামত বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দেয়া যায়।গ্রাডিয়্যান্ট টুল অপশন বারে অবস্থিত গ্রাডিয়্যান্ট  টুল আইকনটির ডানে  ড্রপডাউন লিস্টে ক্লিক করুন।
photoshop gradient tool step 4
এই এডিটরটি ফটোশপের বিল্ট ইন Preset এর লিস্ট সহ হাজির করে ও প্রতিটি Preset এর বিস্তারিত লিস্ট আসে।এই Preset গুলো পরিবর্তনযোগ্য।
প্রথম দুটি ফিল্ড আপনাকে গ্রাডিয়্যান্ট  এর নাম এবং ধরন পরিবর্তনের সুযোগ দেয়।২ ধরনের গ্রাডিয়্যান্ট আছে Solid ও Noise.
পরবর্তী ফিল্ডটি  দুটি রং এর মিলনস্থল মসৃন করতে পারে।এটি ব্যবহার করে দেখুন কি ঘটে।
photoshop gradient tool step 5
New বাটনে ক্লিক করে নুতুন গ্রাডিয়্যান্ট   তৈরী করে Preset এর ইচ্ছেমত নাম দিয়ে সেভ করতে পারেন।এডিটরের নিচে ইমেজটি/ছবিটি প্রিভিউ হিসেবে কাজ করে।এই ছবির উপরে ও নিচে স্লাইডার/নির্দেশক থাকে।উপরের স্লাইডারগুলোর নাম  Opacity Stopper আর নিচেরগুলোর নাম Color Stopper .স্লাইডার গুলো ক্লিক বা ড্রাগ ১-১০০ এর মধ্যে ভ্যালু সেট করা যায়।এগুলো গ্রাডিয়্যান্ট  এর মিলনস্থল মসৃন করে  ও অন্য কোন ইমেজের উপর গ্রাডিয়্যান্ট  তৈরী করে।আপনি অতিরিক্ত স্লাইডার যোগ করতে পারেন ইমেজের (যার উপরে নিচে স্লাইডার অবস্থিত)সীমানায় ক্লিকের মাধ্যমে।
photoshop gradient tool step 6

উপরের এবং নিচের স্লাইডের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে উপরের গুলি Opacity(=অনচ্ছতা)সেট করে আর নিচের গুলি গ্রাডিয়্যান্ট  এর কোন পয়েন্টে রং সেট করতে ব্যবহৃত হয়।
photoshop gradient tool step 7
প্রতিটি স্লাইডার এর মাঝখানে অবস্থিত পয়েন্টটি ইচ্ছেমত সরিয়ে গ্রাডিয়্যান্ট  এর মধ্যে পরিবর্তন আনা যায়।আবার ইচ্ছেমত স্লাইডারও যোগ করা যায়।এটা থেকেই অনুমান করা হয় যে গ্রাডিয়্যান্ট  এ অসংখ্য পরিবর্তন হতে পারে।এজন্যই এ টুলটি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন।
গ্রাডিয়্যান্ট  এর ধরন/Type
গ্রাডিয়্যান্ট  এর অপশন বারে অবস্থিত বিভিন্ন আইকনগুলিতে ক্লিক করে গ্রাডিয়্যান্ট  এর ধরন পাল্টানো যেতে পারে।এখানে ৫ টি ধরন আছে।
  • Linear
  • Radial
  • Angle
  • Reflected
  • Diamond
ডিফল্ট হিসেবে Linear সিলেক্ট করা থাকে।অন্যান্য গুলি সিলেক্ট করলে কেমন হয় চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নেই।
  1.  রেডিয়াল গ্রাডিয়েন্ট (Radial Gradient)
photoshop gradient tool step 8

  1. এনজেল গ্রাডিয়েন্ট (Angle Gradient)
photoshop gradient tool step 9
  1. ডায়মন্ড গ্রাডিয়েন্ট (Diamond Gradient)
photoshop gradient tool step 10

Reverse check box এ ক্লিক করা থাকলে এখন যেমন দেখাচ্ছে তার বিপরীত রকম দেখাত।Opacity ও Blending Option ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর ইফেক্ট তৈরী করতে পারেন।
ফটোশপ পেইন্ট বাকেট টুল টিউটোরিয়াল (Photoshop paint Bucket Tool) 

পেইন্ট বাকেট টুলটি ফটোশপে একটি গুরত্বপূর্ন টুল আমরা সবাই জানি।কিবোর্ড থেকে G বোতাম চেপে টুলটিতে একসেস নেয়া যায়।চলুন থিয়েটরে দেখা যাক কি কি পাওয়া যায় টুলটি অপারেশন করে।


পেইন্ট বাকেট টুল G
photoshop paint bucket tool tutorial step 1
এ টুলটি দিয়ে সিলেক্টকৃত অংশ পূরন/পেইন্ট করা যায়।
ক্যানভাস পেইন্ট করা
যেকান সাইজের একটি নতুন ডকুমেন্ট খুলুন।
photoshop paint bucket tool tutorial step 2
সাদার কাছাকাছি কোন রং দিয়ে ফোরগ্রাউন্ড ফিল করে দিন। ক্যানভাসটি নতুন রং দিয়ে রাঙ্গানোর জন্য এর যেকোন কোথাও ক্লিক করুন বা Alt+Backspace চাপুন।
photoshop paint bucket tool tutorial step 3
পুরো ক্যানভাস ঢেকে ফেলার চেয়ে আপনি ইচ্ছে করলে Rectangular Marque Tool দিয়ে নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করে ফিল(পেইন্ট) করতে পারেন।
একটা সিলেকশন ফিল করা
photoshop paint bucket tool tutorial step 4
photoshop paint bucket tool tutorial step 5
টুলগুলিতে ঘোরাঘুরি করে কাজ করার চেয়ে Alt+Backspace চেপে সহজে ফোরগ্রাউন্ড কালার করা যায়।
পেইন্ট বাকেট টুল অপশন
পেইন্ট বাকেট টুলে নিম্নোক্ত অপশনগুলো পাবেন-

  • Tool Presets

  • Pattern Filling

  • Gradients

  • Blending Options and Modes

  • Opacity Setting
পেইন্ট বাকেট টুল অপশন বার
অপশন বারটি একটি ছোট পেইন্ট বাকেট টুল এর আইকন কালো অ্যারো চিহ্ন সহ শুরু হয়েছে।এখানে ক্লিক করলে প্রিসেট সহ (পূর্বেই ঠিককৃত) কিছু পেইন্ট বাকেট টুল সহ খুলবে।ভিতরে সম্ভবত টুল প্রিসেটের লিস্ট শূন্য দেখতে পাবেন।এর ডানদিকে অবস্থিত দুটি আইকনের উপরের অ্যারো আইকনে ক্লিক করলে নতুন ড্রপডাউন তালিকা থেকে নতুন টুল প্রিসেট তৈরী করতে পারবেন।
নতুন টুল প্রিসেট তৈরী করা
G চেপে পেইন্ট বাকেট টুল Active করুন এবং Opacity 50% করুন।

photoshop paint bucket tool tutorial step 6
পেইন্ট বাকেট টুল প্যালেট খুলে নতুন প্রিসেট তৈরীর জন্য ফাকা পেজটিতে ক্লিক করুন।
photoshop paint bucket tool tutorial step 7
নতুনটির প্রিসেটের ইচ্ছেমত নাম দিন
photoshop paint bucket tool tutorial step 8
নতুন পেইন্ট বাকেট টুলটি ৫০% Opacity দিয়ে ফিল করা হয়েছে অর্থাৎ রংটি এখন স্বচ্ছ হবে।নতুন যে টুর প্রিসেটটি তৈরী করা হল এর Opacity ও ৫০% হবে ফলে এই টুল প্রিসেটটি দিয়ে উক্ত সেটিং ব্যাবহার করা যাবে বার বার নতুন করে Opacity ঠিক করার পরিবর্তে।
টুল প্রিসেটের মুল ধারনা হচ্ছে তৈরীকৃত এই প্রিসেট সেটিংস সেভ করে ফটোশপে পরে ব্যাবহার করতে পারবেন।
প্যাটার্ন দিয়ে ফিল করা
পেইন্ট বাকেট আইকনের একটু ডানে একটা ড্রপডাউন মেনু আছে যেখানে দুটি অপশন আছে -foreground and pattern উপরে ফোরগ্রাউন্ড সেটিংসের উদাহরন দেয়া হয়েছে এবার কিভাবে প্যাটার্ন দিয়ে ফিল করা যায় তা দেখি।
G চেপে পেইন্ট বাকেট টুল Active করুন।ফিল অপশন ঠিক করুন Pattern.
photoshop paint bucket tool tutorial step 9
এখান থেকে যেকোন প্যাটার্ন সিলেক্ট করুন।
photoshop paint bucket tool tutorial step 10
ক্যানভাসের যেকোন জায়গায় ক্লিক করুন প্যাটার্ন টি দিয়ে ফল করতে।
photoshop paint bucket tool tutorial step 11
ফটোশপে বিল্ট ইন প্যাটার্ন
প্যাটার্ন প্যালেট আবার খুলে উপরের ডান দিকে অ্যারো চিহ্নতে ক্লিক করুন
photoshop paint bucket tool tutorial step 12
এই তালিকা থেকে নিচের দিকে অবস্থিত প্যাটার্ন গ্রুপ থেকে যেকোন গ্রুপ সিলেক্ট করুন।
photoshop paint bucket tool tutorial step 13
Append Option টি সিলেক্ট করলে প্যাটার্ন প্যালেটে নতুন প্যাটার্ন যুক্ত হবে।আর Ok করলে বর্তমান প্যালেট টি নতুনটির দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
photoshop paint bucket tool tutorial step 14

0 comments:

Post a Comment